গত নয় মাসে কমেছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৫৩০ কোটি ডলার, যা আগের একই সময়ের চেয়ে ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন।
এর মধ্যে ১৪৯ কোটি ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। রাষ্ট্র মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ডলার।
সংশ্নিষ্টরা জানান, করোনা শুরুর পর ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছিল। করোনার শুরুর দিকে যেখানে প্রবাসীদের অনেকে কাজ হারান এবং নতুন করে বিদেশে যাওয়া কমে যায়। সেই সময়ে এমন উত্থান ছিল অস্বাভাবিক। এর মূল কারণ ছিল লকডাউন ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞার কারণে হুন্ডি কমে যাওয়া।
করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় এ প্রবণতা বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে রেমিট্যান্স কমলেও আমদানি বাড়ছে ব্যাপক হারে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে এলসি খোলা বেড়েছে ৪৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর নিষ্পত্তি বেড়েছে ৫২ শতাংশ। অথচ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।